
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। প্রথম ম্যাচে পারো এফসির সঙ্গে অমীমাংসিত ফলাফলে ম্যাচ শেষ করায় যথেষ্ট হতাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংসকে পরাজিত করে জয়ের সরণিতে ফিরে আসে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তারপর সেই ছন্দ বজায় রেখেই শক্তিশালী নাজমেহ এফসিকে পরাজিত করে অস্কার ব্রুজনের ছেলেরা। সেই সুবাদে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় কলকাতা ময়দানের এই প্রধান।
সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশির আমেজ দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। এছাড়াও চলতি ফুটবল মরসুমে দেশের একমাত্র দল হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করছে ইস্টবেঙ্গল। যা নিঃসন্দেহে গৌরবের বিষয়। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গত ৫ ই মার্চ সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল সৌভিক চক্রবর্তীরা। অনবদ্য লড়াই করে ও সেই ম্যাচে আসেনি জয়। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে একটিমাত্র গোলের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল মশাল ব্রিগেডকে। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকলকে। এমনকি ম্যাচের শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল সমর্থকদের একাংশকে।
সেই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই এবার দ্বিতীয় লেগে নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া দলের ফুটবলাররা। আগামী ১২ ই মার্চ আরকাদাগের সঙ্গে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। সেইমতো গত রবিবার সকালের দিকেই তুর্কমেনিস্তান পৌঁছে যায় দলের অধিকাংশ ফুটবলার। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে খবর, সেখানে পৌছানোর পর থেকেই একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দলের সকল ফুটবলারদের। আসলে অনেকটা সময় হোটেলেই বন্দী হয়ে কাটাতে হয়েছে দলের ফুটবলারদের। তবে সেই সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে সোমবার বিকেল থেকেই অনুশীলন শুরু করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
কোচ অস্কার ব্রুজনের তত্ত্বাবধানে আলটিন আসিয়েরের মাঠেই নিজেদের ঝালিয়ে নেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস থেকে শুরু করে জিকসন সিং হোক কিংবা হেক্টর ইউস্তে চুটিয়ে অনুশীলন করেছেন প্রত্যেকেই। প্রথম লেগে পরাজিত হতে হলেও সেখান থেকেই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ সকলের কাছে।