
ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগে জয়ের ধারা বজায় রাখল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে কিকস্টার্ট এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের প্রধান দল। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় সুইটি দেবীরা। এদিন দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে আশালতা দেবী এবং সুলঞ্জনা রাউল। এই জয়ের সুবাদে শীর্ষস্থানে থাকল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। তবে এদিন বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই কিছুটা আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিয়েছিল কিকস্টার্টের ফুটবলাররা। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে।
তবে ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই প্রবল চাপ বাড়াতে শুরু করে লাল-হলুদ শিবির। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুর দিকেই দলের হয়ে গোল করে যান আশালতা দেবী। প্রথমার্ধের শেষে তাঁর করা গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে মশাল ব্রিগেড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরতে তৎপর ছিল কিকস্টার্ট। সেইমতো বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দিয়েছিল দলের ফুটবলাররা। কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। বরং ৬৫ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন সুলঞ্জনা।
ডান দিকের ক্রস থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে যান জাতীয় দলের এই মহিলা ফুটবলার। পূর্বে ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায় এলশাদাই আচেহাম্পং প্রতিপক্ষের গোল বক্সের মধ্যে ঢুকে গেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি। অনায়াসেই শট প্রতিরোধ করে দিয়েছিলেন লিন্থোই গাম্বি। তার কিছু সময়ের মধ্যেই দল দ্বিতীয় গোল হজম করতেই মনোবল ভাঙতে শুরু করে কিকস্টার্টের ফুটবলারদের। যারফলে জয় ছিনিয়ে নিতে আর খুব একটা সমস্যা হয়নি লাল-হলুদের। দুইটি গোলের মধ্যে দিয়ে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু দলের অধিনায়ক সুইটি দেবী চোট কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখছে সকলকে। বলাবাহুল্য, ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল এই ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডারকে। স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তী ম্যাচে আদৌ তিনি খেলতে পারবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।