
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সুপার সিক্সে যাওয়ার আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC)। অনবদ্য পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে দল টুর্নামেন্ট শুরু করলেও বজায় থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের নতুন দল তথা ময়দানের তৃতীয় প্রধান মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে ঘরের মাঠে পরাজিত হওয়া নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা ছিল সকলের কাছে। তারপর কয়েকটি ম্যাচে সাফল্য আসলেও সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিশেষ করে জামশেদপুর এফসিকে অ্যাওয়ে ম্যাচে বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত করার পর আটকে যেতে হয়েছিল শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির কাছে।
তারপর থেকেই একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করে দক্ষিণের এই ফুটবল দল। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতে জয়ের দেখা মিললেও পরবর্তীতে ফের আটকে যেতে হয় ওয়েন কোয়েলের ছেলেদের। স্বাভাবিকভাবেই সুপার সিক্সের লড়াই থেকে অনেক আগেই ছিটকে যায় আইএসএল জয়ী এই ফুটবল দল। যা নিয়ে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। তবে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলিতে ভালো পারফরম্যান্স করে সুপার কাপের জন্য দলকে প্রস্তুত করাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল চেন্নাইয়িন কোচের। সেইমতো নিজের ফুটবলারদের প্রস্তুত করাচ্ছিলেন ওয়েন কোয়েল।
সবদিক মাথায় রেখেই রবিবার নিজেদের ঘরের মাঠে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল চিমা চুকুরা। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির সঙ্গে। পূর্ণ সময়ের শেষে ৫-২ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় চেন্নাইয়িন। দলের হয়ে দুটি করে গোল করেন ড্যানিয়েল চিমা চুকু এবং ইরফান ইদওয়াদ। একটি গোল করে যান লুকাস বামব্রিলা। অপরদিকে, জামশেদপুর এফসি হয়ে গোল পান রেই তাচিকাওয়ারা এবং মহম্মদ শানন। এই জয়ের সুবাদে ২৪ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১০ নম্বরে থাকল চেন্নাইয়িন।
বলাবাহুল্য, এদিন ইন্দোরের বুকে ম্যাচ থাকলেও প্রথম থেকেই যথেষ্ট জন্মানে মেজাজে ধরা দিয়েছিল জামশেদপুর। ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে তাচিকাওয়ার গোলে দল এগিয়ে গেলেও সেটা বজায় থাকেনি বেশিক্ষণ। কিছু সময়ের মধ্যেই দলকে সমতায় ফেরান চিমা চুকু। তারপর প্রথমার্ধের শেষে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লুকাস বামব্রিলা। তারপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় চেন্নাইয়িন। এবার গোল করেন ইরফান। পরবর্তীতে ম্যাচের পঞ্চম কোয়ার্টারে মহম্মদ শানন ব্যবধান কমালে ও ম্যাচের ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। সময় এগোনোর সাথে সাথেই আক্রমণের তেজ বাড়াতে শুরু করেন লুকাস বামব্রিলার মতো তারকা ফুটবলাররা।
যারফলে প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগে ও বিরাট বড় ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলে চেন্নাইয়িন। এই ধারা বজায় রেখেই কলিঙ্গ সুপার কাপ জয় করতে মরিয়া অভিষেক বচ্চনের এই ফুটবল ক্লাব।