
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার (India-Pakistan Conflict) কারণে আইপিএল ২০২৫-এ অংশ নেওয়া কিছু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এবং কোচ ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং অনেকেই দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু খেলোয়াড়ের এজেন্ট, যারা তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি, জানিয়েছেন যে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে সীমান্তের কাছাকাছি সংবেদনশীল এলাকায় থাকা খেলোয়াড়রা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারত ছাড়তে প্রস্তুত।
আইপিএল ২০২৫-এ অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় ও কোচ
বর্তমানে আইপিএল-এ অংশ নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটাররা যেমন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড এবং ট্রাভিস হেড। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ান কোচ রিকি পন্টিং এবং ব্র্যাড হ্যাডিনও এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার কারণে তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
পাঞ্জাব বনাম দিল্লি ম্যাচ বাতিল
বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে একটি আইপিএল ম্যাচ মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, এটি বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক কোনো কারণে নয়, বরং ফ্লাডলাইটের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছে। আলো নিভে যাওয়ায় নিরাপত্তার কারণে দর্শকদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আইপিএল প্রধান অরুণ ধুমাল পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “ম্যাচটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বাতিল করা হয়েছে। জম্মুতে কিছু ঘটনা ঘটেছে (যেখানে ভারত পাকিস্তানের মিসাইল হামলা প্রতিহত করেছে), এমন তথ্য আমরা পেয়েছি। তাই ম্যাচ বাতিল করাই বিচক্ষণ মনে হয়েছে।”
লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার কারণে আইপিএল-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, অরুণ ধুমাল জানিয়েছেন, শুক্রবারের লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যে ম্যাচ এখনও নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও জানান, ধর্মশালায় বাতিল হওয়া ম্যাচের দল এবং স্টাফদের পাঠানোর জন্য পাঠানকোট থেকে দিল্লির উদ্দেশে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।