
গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) প্রধান দুর্বলতাগুলির মধ্যে একটি ছিল তাদের ফুল-ব্যাক পজিশনের হতাশাজনক পারফরম্যান্স। পুরো মরসুম জুড়ে দলটিকে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে রেখেছিল। লাল-হলুদ ব্রিগেড তাদের সাইড-ব্যাক পজিশন শক্তিশালী করতে মার্ক জোথানপুইয়া এবং প্রোভাত লাকড়াকে দলে নিয়েছিল। যেখানে আগে থেকেই মোহাম্মদ রাকিপ এবং নিশু কুমার ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তাদের কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ক্লাবটির গৌরবময় দিনগুলি ফিরিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে, ইস্টবেঙ্গল আসন্ন ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাদের দলকে শক্তিশালী করতে মরিয়া। তাদের প্রধান লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে ফুল-ব্যাক পজিশনের সমস্যা সমাধান করা।
কলকাতার এই ক্লাবটি বাজারের সমস্ত সম্ভাব্য বিকল্প খতিয়ে দেখছে। বাঁ-প্রান্তের ফুল-ব্যাক পজিশনের জন্য তাদের প্রাথমিক টার্গেট হলেন পাঞ্জাব এফসি’র উইং-ব্যাক অভিষেক সিং। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল প্রধান থাংবোই সিংতো, ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত সুপার কাপের সময় অভিষেকের খেলার ধরন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী মরসুমে অভিষেককে লাল-হলুদ জার্সিতে দেখা যাবে। নিঃসন্দেহে, তিনি আগামী বছরগুলিতে ভারতের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলারদের একজন।
ডান-প্রান্তের ফুল-ব্যাক পজিশনের জন্য, ক্লাবটি তাদের শহরের প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান এসসি’র উইং-ব্যাক ভানলালজুইদিকার খোঁজ নিয়েছে। এই মিজো ডিফেন্ডার চলতি আইএসএল মরসুমে কালো-সাদা ব্রিগেডের হয়ে ২২টি ম্যাচে প্রশংসনীয় ডিফেন্সিভ দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছেন। মোহামেডানে যোগ দেওয়ার আগে, জুইদিকা আইজল এফসি’র সেই দলের অংশ ছিলেন। যেটি লালছানহিমা এবং ডেভিড লালহ্লানসাঙ্গার মতো প্রতিভাকে সামনে নিয়ে এসেছিল।
এই দুজন ছাড়াও, ইস্টবেঙ্গল সম্প্রতি সমাপ্ত আই-লিগ থেকে প্রতিভা খুঁজছে। চার্চিল ব্রাদার্সের উইং-ব্যাক লামগৌলেন গৌ হ্যাংশিং তাদের রাডারে রয়েছেন। এই মণিপুরী ফুল-ব্যাক গত মরসুমে দুটি গোল এবং একটি অ্যাসিস্টের মাধ্যমে নজর কেড়েছেন। যদিও তিনি এখনও আইএসএল-এ নিজেকে প্রমাণ করেননি।
এছাড়াও, ক্লাবটি তাদের বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি বড় পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে। তারা এমন কিছু বিদেশি খেলোয়াড়দের খুঁজছে, যারা কোচের দর্শনের সঙ্গে মানানসই। আগামী মরসুমে দলকে এগিয়ে রাখতে পারে। তবে, উইং-ব্যাকদের দুর্বল পারফরম্যান্স ঠিক করা তাদের প্রধান লক্ষ্য।