
সূচি অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় কলিঙ্গ সুপার কাপের প্রথম প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হচ্ছে ডেভিড কাতলার শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে এগিয়ে আদ্রিয়ান লুনাদের দল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন জেসুস জেমিনেজ। যা নিঃসন্দেহে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ দেবে দলের ফুটবলারদের মধ্যে। গত বছর শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার প্রথম থেকেই অফকালার থাকতে দেখা গিয়েছে মশাল ব্রিগেডকে।
আসলে গত বছর এই ট্রফি জয় করার ফলে ম্যাচ শুরুর আগে দলের ফুটবলারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ভরপুর থাকলেও সময় এগোনোর সাথে সাথেই বদলাতে থাকে গোটা পরিস্থিতি। বরং ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে শুরু করে দক্ষিণের এই ফুটবল দল। ম্যাচের একেবারে প্রথম থেকেই লাল-হলুদের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেন নোয়া সাদাউ থেকে শুরু করে ডুসান ল্যাগেটরের মতো ফুটবলাররা। বলাবাহুল্য, একেবারে প্রথমদিকে নোয়ার পাস থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বল গোলে রাখতে পারেননি তিনি। কিছু সময় পর ফের গোলের সুযোগ তৈরি হলেও কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি।
ম্যাচ রিপোর্ট পড়তে ক্লিক করুন: লজ্জার হার! সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল
পরবর্তীতে সুযোগ বুঝেই প্রতি আক্রমণে উঠতে শুরু করেছিল পিভি বিষ্ণু থেকে শুরু করে দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসরা। কিন্তু সুযোগ নষ্টের পুরনো অভ্যাসের দরুন গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। তারপর প্রথমার্ধের শেষ কোয়ার্টারে নিজেদের গোল বক্সে নোয়া সাদাউকে ফাউল করে বসেন ইস্টবেঙ্গলের তারকা ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। সেখান থেকেই পেনাল্টি আদায় করে নেয় দল। প্রথমে জেসুসের শট প্রভসুখান সিং গিল বাঁচাতে সক্ষম থাকলেও সেটা বীধি সম্মত ছিল না। যারফলে পুনরায় শট নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান ম্যাচ রেফারি। এবার আর রক্ষা করতে পারেননি লাল-হলুদের গোলরক্ষক।
যারফলে অনায়াসেই এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের শেষের দিকে প্রতি আক্রমণে উঠে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন লাল-হলুদের ভরসাযোগ্য তারকা রাফায়েল মেসি বাউলি। কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেয়ে ও গোল করতে ব্যর্থ থাকেন এই তারকা। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সমর্থকরা।