
KKR batting failure: খেলাধুলার জগতে হয় আপনি বিজয়ী, নয়তো পরাজিত। এর মাঝামাঝি কিছু নেই। কিছু দল জয়ের অভ্যাস গড়ে তুলে ইতিহাস রচনা করে। আর কিছু দল তাদের সমর্থকদের বারবার হতাশায় ডোবায়। এই বিষয়ে বিখ্যাত উক্তিগুলো প্রায়ই আমাদের মনোবল জাগায়। এই রকমই একটি উক্তি হলো ওয়াল্ট ডিজনির: “যদি তুমি স্বপ্ন দেখতে পারো, তবে তা করতেও পারো।”
Highlights
শ্রেয়াস আইয়ারের স্বপ্নপূরণ, নাটকীয় জয়!
পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার সম্প্রতি মুল্লানপুরে এই ডিজনি-অনুপ্রাণিত মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। কেকেআরের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি নিজে শূন্য রানে আউট হলেও, ১১১ রানের একটি রেকর্ড-ব্রেকিং লক্ষ্য রক্ষা করতে সক্ষম হন। এই ম্যাচটি সম্ভবত আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর নিম্ন-স্কোরিং ম্যাচ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শ্রেয়াসের মাঠের আক্রমণাত্মকতা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে যে কেকেআরের প্রতি তার কোনো মায়া নেই। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি, যাকে তিনি ১০ বছর পর আইপিএল শিরোপা জিতিয়েছিলেন। ভেঙ্কি মাইসোরের নেতৃত্বে তাকে ধরে রাখেনি। তার দাবি নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনও শিরোনামে এসেছিল। তাই মাঠের বাইরের নাটকের পর কেকেআরের বিরুদ্ধে তার চোখে প্রতিশোধের আগুন স্পষ্ট ছিল।
কেকেআরের হাতছাড়া জয়
এই ম্যাচে কেকেআর নিজেরাই জয় হাতছাড়া করেছে। পিচের তেমন কোনো প্রভাব ছিল না, কিন্তু তারা সম্মিলিতভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ৭.৩ ওভারে ৬২/২ থেকে কেকেআর ১৫.১ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে গুটিয়ে যায়। রাহানের এলবিডব্লিউ, যা ডিআরএস নিলে বাঁচতে পারত।এর পর থেকে ধসের সূচনা করে। আন্দ্রে রাসেল আউট হওয়ার পরই ‘চোকার্স’ তকমা কেকেআরের নামের পাশে জুড়ে যায়।
‘চোকার্স’ তকমা
‘চোকার্স’ শব্দটি কোনো দলের জন্য কাম্য নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কেকেআরও এই তকমার দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বা আইসিসি টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে দারুণ পারফরম্যান্সের পরও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ব্যর্থতার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা এই তকমা পেয়েছে। কেকেআরও একই পথে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি অপ্রত্যাশিত হার, যেখানে ২৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ১৩ ওভারে ১৬২/৩ থেকে মাত্র ৪ রানের জন্য হেরে যায়। এটি হয় সাহসের অভাব, নয়তো খেলোয়াড়দের ভূমিকায় স্পষ্টতার ঘাটতি।
আইপিএল ২০২৪’র ৯ জন, তবু হতাশা!
আইপিএল নিলামের আগে একটি চ্যাম্পিয়ন দল ধরে রাখা কঠিন। কেকেআর গত মৌসুমে আধিপত্য দেখিয়েছিল। তাই তাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া। তবুও তারা গত মৌসুমের ১২ জনের মধ্যে ৯ জনকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এটি স্মার্ট পদক্ষেপ ছিল, কিন্তু গৌতম গম্ভীরের অনুপস্থিতি এখন অনুভূত হচ্ছে।
আশার আলো এবং ভবিষ্যৎ
কেকেআরের উপর ‘চোকার্স’ তকমা এখনো পুরোপুরি বসেনি। আইপিএল ২০২৫’র পয়েন্টস টেবিল এখনো খোলা। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচের আগে তাদের একটি প্রয়োজনীয় বিরতি মিলছে। এই সময়ে তারা কি তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে লড়াইয়ের মনোভাব ফিরিয়ে আনতে পারবে?