
বিশ্ব ফুটবলের মহাযজ্ঞ ২০২৬ (World Cup 2026) বিশ্বকাপের আয়োজন করতে চলেছে তিনটি দেশ— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। তবে এই আয়োজনের আগে দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নতুন শুল্কনীতি। মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫% শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব। তবে ট্রাম্প এতে একেবারেই চিন্তিত নন। বরং তাঁর মতে, এই উত্তেজনা বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে তুলবে!
বিশ্বকাপ আয়োজনে ট্রাম্পের টাস্ক ফোর্স
বিশ্বকাপ আয়োজনকে সফল করতে হোয়াইট হাউস থেকে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো-এর উপস্থিতিতে এই বিশেষ সংস্থার ঘোষণা করেন তিনি। মূলত নিরাপত্তা, ভেন্যু প্রস্তুতি এবং বিশ্বকাপের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক দেখভালের দায়িত্ব থাকছে এই টাস্ক ফোর্সের হাতে।
বিশ্বকাপ আয়োজনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তেজনা
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে ৪৮টি দেশের অংশগ্রহণে, যেখানে মোট ১০৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭৮টি ম্যাচ হবে আমেরিকায়, আর মেক্সিকো ও কানাডায় হবে ১৩টি করে ম্যাচ। তবে বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের কারণে তিন দেশের মধ্যে এই আয়োজন ঠিকভাবে হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।
কিন্তু ট্রাম্প এই বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “উত্তেজনা তো ভালো জিনিস! শুল্কযুদ্ধ হোক বা বিশ্বকাপ, এই টানটান পরিস্থিতি আসলে ফুটবল উন্মাদনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।”
ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও তার প্রভাব
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মার্কিন বাণিজ্যনীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন— যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক চাপাবে, আমেরিকাও তাদের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। সেই সূত্রেই মেক্সিকো ও কানাডার উপর ২৫% শুল্ক বসানো হয়েছে। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মার্কিন স্টক মার্কেটে। যার ফলে আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত এই শুল্ক স্থগিত রাখা হয়েছে*।
বিশ্বকাপ আয়োজনের পাশাপাশি শুল্কযুদ্ধের উত্তাপ এই তিন দেশের সম্পর্ককে কোন দিকে নিয়ে যাবে, তা দেখার বিষয়। তবে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ২০২৬ বিশ্বকাপ এক অন্যরকম আবহ তৈরি করবে সেটা নিশ্চিত।