East Bengal: তরুণ ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি বিনো জর্জ

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির কাছে পরাজিত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো যথেষ্ট কঠিন হয়ে উঠেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের কাছে। প্রায় ৭ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। নিজেদের ঘরের মাঠেই তাঁরা পরাজিত করেছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের কাছে। মাঝে কয়েকটি ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করতে হলেও জয়ের সরণিতে ফিরতে খুব একটা অসুবিধা ছিলনা গতবারের সুপার কাপ জয়ীদের কাছে।

বিশেষ করে অস্কার ব্রুজন দলের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। খারাপ সময় কাটিয়ে ধীরে ধীরে সুদিন ফিরছিল কলকাতা ময়দানের এই তাঁবুতে। কিন্তু ফুটবলারদের চোট আঘাতের সমস্যার পাশাপাশি কার্ড সমস্যা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল একাধিক ম্যাচে। স্বাভাবিকভাবেই সুপার সিক্সে স্থান করে নেওয়া অপেক্ষাকৃত কঠিন ছিল লাল-হলুদের কাছে। কিন্তু তবুও মেয়েদের সেরাটা নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন দলের সকল ফুটবলাররা। চেন্নাইয়িন এফসির কাছে পরাজিত হওয়ার পর সেই সম্ভাবনা ক্রমশ কমতে শুরু করলেও সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল।

কিন্তু গত বেঙ্গলুরু ম্যাচ ড্র করতেই চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই থেকে ছিটকে যায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। বেঙ্গালুরু ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করায় শেষ ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় পেলেও খুব একটা সুবিধে করতে পারত না মশাল ব্রিগেড। তার উপরে রয়েছে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। সবদিক মাথায় রেখেই গত শনিবার আইএসএলের এই নিয়ম রক্ষার ম্যাচে অধিকাংশ রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের মাঠে নামিয়ে ছিল লাল-হলুদ। প্রথমার্ধে অনবদ্য লড়াই থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হয় লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই ফুটবল দলকে।

তবে দল পরাজিত হলেও জুনিয়র ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট সহকারী কোচ বিনো জর্জ‌। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমাদের পাঁচ-ছ’জন খেলোয়াড় প্রথমবারের মতো আইএসএলে খেলেছে। আমাদের মাত্র একজন বিদেশি ফুটবলার এই দলে ছিল। অথচ প্রতিপক্ষের পূর্ণশক্তির দল মাঠে নেমেছিল, যেখানে সব বিদেশি খেলোয়াড়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাই আমাদের মধ্যে কোনও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ছিল না। আমরা সেই খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। যারা এখনও আইএসএলে সেভাবে সুযোগ পায়নি। পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলতে পারেনি। আমরা তাঁদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। যা ভবিষ্যতে দলকে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলবে। যদিও চার গোলে ম্যাচ হারা বিরাট ধাক্কার। তবে আমাদের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমরা খুশি। আমরা কাজ চালিয়ে যাব। “

Related Posts

Chennaiyin FC vs Jamshedpur FC: জামশেদপুরের বিপক্ষে সহজ জয়, বাড়তি অক্সিজেন চেন্নাইয়িনের

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সুপার সিক্সে যাওয়ার আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC)। অনবদ্য পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে দল টুর্নামেন্ট শুরু করলেও বজায় থাকেনি…

Chennaiyin FC Transfer: এই মরোক্কান তারকাকে দলে টানতে মরিয়া চেন্নাইয়িন

শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু করেছিল চেন্নাইয়িন এফসি‌ (Chennaiyin FC)। দ্বিতীয় ম্যাচে ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে পরাজিত…