
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০২৫ (Champions Trophy 2025) বিরাট-রোহিত এবং শামিদের ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ প্রসঙ্গে ভারতের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বনের (Ravichandran Ashwin) বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি বলেন, “পাকিস্তান যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করেছিল, তখন তারা টুর্নামেন্ট থেকে বাইরে চলে গিয়েছিল। সুতরাং, তাদের ভারতীয় ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার নেই।” এই বক্তব্যে অশ্বিন তার দলের আত্মবিশ্বাস এবং পারফরম্যান্সের প্রতি বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তিনি ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেছি। ম্যাচ জেতা আসলে ভালো ক্রিকেট খেলার উপর নির্ভরশীল।”
অশ্বিনের এই মন্তব্যগুলো টাটা স্টিল ট্রেলইব্লেজার্স তৃতীয় বর্ষের কনক্লেভে ফুটে ওঠে, যেখানে রেভস্পোর্টসের সম্পাদক বোরিয়া মজুমদার ছিলেন সঞ্চালক। কনক্লেভে অশ্বিন তার ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়েও কথা বলেন। বিশেষত, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝপথে কেন তিনি অবসর নিয়েছিলেন তা নিয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন ক্রিকেট খেলতে শুরু করি, আমি ঠিক করেছিলাম যে, অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত আমি নিজে নেব। আমি ভারতীয় ক্রিকেট ও খেলাধুলার প্রতি কখনও আত্মকেন্দ্রিক হতে চাইনি। আমি বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে, শুধুমাত্র জল পরিবেশন করে থাকতে চাই না। তবে, এটা আমি মানছি যে, চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য আমি সেই কাজ করতে রাজি আছি, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ভারত কি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফেভারিট? অশ্বিন এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “ফাইনাল নিয়ে আমি কিছুটা নার্ভাস। নিউজিল্যান্ড সেমি-ফাইনালে দারুণ খেলেছে। তবে এটা গর্বের বিষয় যে ভারত পরপর দুটি আইসিসি ফাইনাল খেলছে। আমরা এক বিশেষ অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছি। নিউজিল্যান্ড কখন পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করে না, তারা তাদের সম্পদ সর্বোচ্চ ব্যবহার করে।”
ভারত কি এখনও এক শক্তিশালী টেস্ট দল? আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়ে অশ্বিন বলেন, “ভারতীয় টেস্ট দল এখন অন্য টেস্ট দলের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। সিনিয়র খেলোয়াড়দের থাকা জরুরি, তারা যুবাদের গাইড করতে পারে। ব্যাটসম্যানরা শুধুমাত্র টেস্ট সিরিজ জিতাতে পারে না, বোলারদেরও অবদান রাখতে হবে। আগামী দিনে বুমরাহ এবং শামির মতো বোলার কোথায়?”
অশ্বিন আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, বিরাট কোহলি অন্তত দুই বছর আরো খেলবে। তার ফিটনেস দুর্দান্ত এবং তার পারফরম্যান্সের সাথে এই তরুণ দলের জন্য বিশাল অবদান রাখতে পারবে।”
এই মন্তব্যগুলো দেখায়, অশ্বিনের আত্মবিশ্বাস, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রতি তার অবিচল সমর্থন এবং ভারতের ভবিষ্যৎ টুর্নামেন্টে সফলতার প্রতি তার দৃঢ় বিশ্বাস।