কেরালা টু মোহনবাগান! কলকাতার মাটিতে সাহালের নতুন স্বপ্নের সূচনা

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো সাহাল আব্দুল সামাদ (Sahal Abdul Samad) কেরালা থেকে কলকাতায় তার যাত্রাকে চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার তার ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ে মোহনবাগানের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছেন।

কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি-তে সাহাল তার ফুটবল যাত্রা শুরু করেন। যুব দল থেকে উঠে এসে তিনি দ্রুত সিনিয়র দলে নিজের জায়গা পাকা করেন। তার মাঠের নৈপুণ্য এবং বল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাকে ২০১৯-২০ মৌসুমে আইএসএল-এর উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতিয়েছে। ২০২১-২২ মৌসুমে তিনি কেরালাকে আইএসএল ফাইনালে নিয়ে যান। এর পরে তিনি ভারতীয় জাতীয় দলে ডাক পাইয়ে দেয়। ২০২৩ সালে সাহাল মোহনবাগানে যোগ দেন এবং প্রথম মৌসুমেই (২০২৩-২৪) আইএসএল লিগ শিল্ড এবং কাপ জয় করেন। পরের মৌসুমেও তিনি মেরিনার্সের হয়ে এই দুটি শিরোপা ধরে রাখেন।

স্পোর্টস্টারের সঙ্গে আলাপে সাহাল তার এই স্থানান্তরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “কেরালায় আমরা ট্রফির জন্য লড়াই করতাম, কিন্তু মোহনবাগানে এসে একটা আলাদা মানসিকতার পরিচয় পেয়েছি। এখানকার খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট—সবাই চ্যাম্পিয়ন মনোভাব নিয়ে কাজ করে। এই পদক্ষেপ নেওয়া সহজ ছিল না, কিন্তু আমি এটাকে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি।”

মোহনবাগানের হয়ে ডাবল জয়ের মৌসুমে সাহালের পথ মসৃণ ছিল না। ইনজুরির কারণে তিনি মৌসুমে মাত্র ৮১৬ মিনিট মাঠে খেলতে পারেন এবং একটি অ্যাসিস্ট করেন। তবে, তার প্রভাব কেবল পরিসংখ্যানে সীমাবদ্ধ নয়। প্লে-অফে =পর্বে ইনজুরি থেকে ফিরে তিনি আইএসএল ফাইনালে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সাহাল বলেন, “ইনজুরি ফুটবলের অংশ। আমার দলের মেডিকেল টিম এবং ফিজিওরা আমাকে সুস্থ হতে সাহায্য করেছে। এটা আমাকে ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রমের শিক্ষা দিয়েছে।”

  • Related Posts

    ISL পর এশিয়ার মঞ্চে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে সফল বাংলার এই দল

    এএফসি প্রতিযোগিতায় (AFC Tournament) ভারতীয় ক্লাবগুলোর (Indian Football Club) অংশগ্রহণ এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে…

    ভারতের মাটিতে ফাইনাল আয়োজনে কাঁটা পাকিস্তান!

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) টেস্ট ক্রিকেটকে এক নতুন দিশা দিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ভক্তদের আগ্রহ ধরে রাখতে ও এই ফরম্যাটে একটি বিশ্বমানের প্রতিযোগিতা তৈরি করতে…