ইডেনে কেকেআরের বৃষ্টির ধাক্কা, কোন অঙ্কে প্লে-অফে পৌঁছাবে নাইট বাহিনী?

গত মরশুমে আইপিএলের শিরোপা জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR ) এবারের মরশুমে প্লে-অফে পৌঁছানোর লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। নয়টি ম্যাচ খেলে মাত্র সাত পয়েন্ট নিয়ে তারা সপ্তম স্থানে রয়েছে, নেট রান রেট (এনআরআর) +০.২১২।শনিবার পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়ায় একটি পয়েন্ট পেলেও, কেকেআর-এর সামনে এখন প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার জন্য কঠিন পথ। তবে, অসম্ভব নয়! ইতিহাস বলছে, ২০১৪ সালে তারা শেষ পাঁচ ম্যাচ জিতে প্লে-অফে না শুধু পৌঁছায়, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে শিরোপাও জিতেছিল। এবার কি তারা সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে পারবে?

কেকেআর-এর প্লে-অফে যাওয়ার সমীকরণ

কেকেআর-এর প্লে-অফে পৌঁছানোর জন্য তাদের বাকি পাঁচটি ম্যাচই জিততে হবে। আইপিএলে সাধারণত ১৬ পয়েন্ট প্লে-অফের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়। বাকি পাঁচ ম্যাচ জিতলে কেকেআর ১৭ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে, যা তাদের একটি অতিরিক্ত পয়েন্টের সুবিধা দেবে। তবে, শুধু জয়ই যথেষ্ট নয়। তাদের বড় ব্যবধানে জিতে নেট রান রেট উন্নত করতে হবে। কারণ এনআরআর প্লে-অফের দৌড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া, কেকেআর-এর ভাগ্য অনেকটাই অন্য দলের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে। বর্তমানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (এমআই) এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি)-এর সামনে গুজরাট টাইটান্স (জিটি), পাঞ্জাব কিংস (পিবিকেএস), দিল্লি ক্যাপিটালস (ডিসি) এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)-এর মতো শক্তিশালী দল রয়েছে। এই দলগুলো এই মরশুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। যদি এমআই এবং এলএসজি চাপের মুখে হোঁচট খায় এবং কেকেআর তাদের বাকি ম্যাচগুলো জিততে পারে। তাহলে তারা শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে পারে।

অন্যথায়, ২০১৯ সালের মতো পরিস্থিতি হতে পারে। সেই মরশুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে ছিল। চতুর্থ স্থানের জন্য সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (এসআরএইচ) এবং কেকেআর-এর মধ্যে লড়াই হয়েছিল। দুই দলই ১২ পয়েন্টে ছিল, কিন্তু এসআরএইচ-এর নেট রান রেট বেশি থাকায় কেকেআর প্লে-অফে জায়গা পায়নি। এবারও এমন পরিস্থিতি এড়াতে কেকেআর-এর বড় জয় প্রয়োজন।

কেকেআর-এর সামনের প্রতিপক্ষ

কেকেআর-এর পথ মোটেও সহজ নয়। তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে মুখোমুখি হতে হবে দিল্লি ক্যাপিটালস (ডিসি), রাজস্থান রয়্যালস (আরআর), চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে), সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (এসআরএইচ) এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)-এর মতো শক্তিশালী দলের। এই দলগুলো এই মরশুমে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। তবে, কেকেআর-এর জন্য এই চ্যালেঞ্জ অতীতে অপরিচিত নয়। ২০১৪ সালে তারা শেষ পাঁচ ম্যাচ জিতে প্লে-অফে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতেছিল।

কেকেআর-এর জন্য কী করতে হবে?

কেকেআর-এর কাছে এখন প্রতিটি ম্যাচ জীবন-মরণের লড়াই। তাদের ব্যাটিং এবং বোলিং ইউনিটকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নতুন অধিনায়ক রাহানের নেতৃত্বে দলকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে এবং প্রতিপক্ষকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে। নেট রান রেট উন্নত করতে ব্যাটিংয়ে বড় রান তাড়া করা বা বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে দেওয়া জরুরি। এছাড়া, দলের মূল খেলোয়াড়দের ফর্মে ফিরতে হবে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের দায়িত্ব নিতে হবে।

  • Related Posts

    আইএফএফ সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশে ইন্টারকাশির লড়াইয়ে নয়া মোড়

    ভারতীয় ফুটবলের আই-লিগ ২০২৪-২৫ মরসুমের শিরোপা নিয়ে চলমান বিতর্কে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট (CAS) হস্তক্ষেপ করেছে। ইন্টার কাশি এফসি (Inter Kashi FC), নামধারী এফসি,…

    হায়দরাবাদ টেক্কা! রায়নার দিকে নজর আইএসএলের একাধিক ক্লাবের

    বর্তমানে জমজমাট হয়ে উঠেছে কলিঙ্গ সুপার কাপ। সময় যত এগোচ্ছে ততই নানা অঘটনের সাক্ষী থেকেছে সকলে। টুর্নামেন্টের প্রথম প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে পরাজিত হয়েই ছিটকে গিয়েছে…